গতি, নির্ভুলতা এবং শক্তি: কিভাবে মিউনিখ বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপক ফ্লিট জরুরী প্রতিক্রিয়ায় নতুন মান নির্ধারণ করে

জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর মিউনিখ বিমানবন্দরে, চারটি রোজেনবাউয়ার প্যান্থার 8×8 যানবাহন মোতায়েন সহ অগ্নিনির্বাপণের একটি নতুন যুগ চলছে। এই দৈত্য, প্রতিটি 52 টন ওজনের, দুটি দিয়ে সজ্জিত করা হয় অ্যালিসন সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশন, 180 সেকেন্ডের মধ্যে যেকোনো বিমানবন্দর জোনে পৌঁছাতে সক্ষম করে। অ্যালিসনের কন্টিনিউয়াস পাওয়ার টেকনোলজি® এই যানবাহনগুলিকে মাত্র 0 সেকেন্ডের মধ্যে 80 থেকে 20 কিমি/ঘণ্টা গতিতে ত্বরান্বিত করতে দেয়, জরুরী প্রতিক্রিয়ায় শক্তি এবং নির্ভুলতার একটি অভূতপূর্ব মিশ্রণ প্রদর্শন করে।

অতুলনীয় গতি এবং দক্ষতা

মিউনিখ বিমানবন্দর দমকলকর্মীরা, মাইকেল এবং মার্কো, ড্রিলের সময় এই প্যান্থারদের বিরামহীন অপারেশন প্রদর্শন করে। যাত্রীবাহী জেটের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়ার অনুকরণে একটি বিপদজনক দৃশ্য তাদের প্রস্তুতি এবং যানবাহনের ক্ষমতা পরীক্ষা করে। প্যান্থার্স, প্রিহিটেড একটানা ভলভো ইঞ্জিন এবং অ্যালিসন 4800R সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশন দ্বারা চালিত, দ্রুত গতিতে 120 কিমি/ঘণ্টা বেগে ত্বরান্বিত হয়, রেকর্ড সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফোমের স্থাপনা এবং স্টিংগার নির্বাপক হাতের কৌশলগত অবস্থান দ্রুত শিখাকে নিভিয়ে দেয়, এই ধরনের ক্রিয়াকলাপে গতি এবং দক্ষতার গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্ব তুলে ধরে।

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং উদ্ভাবনী নকশা

মিউনিখ বিমানবন্দরের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কারিগরি প্রধান ইয়ুর্গেন রেইখহুবার এবং ডেপুটি ফায়ার চিফ ফ্লোরিয়ান ক্লেইন প্যান্থারদেরকে তাদের অগ্নিনির্বাপক বহরের শীর্ষ হিসেবে আন্ডারস্কোর করেছেন। এই যানবাহনগুলির নির্বাচন একটি প্রতিযোগিতামূলক ইউরোপীয় দরপত্র অনুসরণ করে, সর্বাধিক প্রভাব, ত্বরণ এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেয়। অ্যালিসনের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশনের অন্তর্ভুক্তি চাকাগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি স্থানান্তর নিশ্চিত করে, যা অগ্নিনির্বাপক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রুত এবং নিয়ন্ত্রিত চালচলনকে সহজতর করে।

অগ্নিনির্বাপক দক্ষতায় অ্যালিসনের অবদান

অ্যালিসন 4800R ট্রান্সমিশন প্যান্থারদের পারফরম্যান্সে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ট্রান্সমিশনগুলি, একটি পেটেন্ট টর্ক কনভার্টার এবং নিরবিচ্ছিন্ন ফুল-পাওয়ার শিফট দিয়ে সজ্জিত, উচ্চতর ত্বরণ এবং ক্রমাগত ট্র্যাকশন প্রদান করে। ফলাফল হল একটি অগ্নিনির্বাপক যান যা জরুরী পরিস্থিতিতে দ্রুত নেভিগেট করতে পারে, নিশ্চিত করে যে মিউনিখ বিমানবন্দর ICAO-এর (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) এর কার্যক্ষম এলাকায় তিন মিনিটের প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।

অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা

প্যান্থারদের মোতায়েন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ। একটি ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেম এবং একটি মিশন কম্পিউটারের মতো উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে সজ্জিত, এই যানগুলি সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ অগ্নিনির্বাপক মিশনের জন্য প্রস্তুত। অ্যালিসনের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশনগুলির নির্ভরযোগ্যতা এবং পরিচালনার সহজতা তাদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা অগ্নিনির্বাপকদের জরুরী পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস এবং নির্ভুলতা প্রদান করে।

প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ এবং সিমুলেশন

মিউনিখ বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপক দল জার্মানির সবচেয়ে উন্নত ফায়ার সিমুলেশন সুবিধাগুলির মধ্যে একটিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়৷ একটি বোয়িং 747 মক-আপ সমন্বিত এই সুবিধাটি ককপিট আগুন থেকে কেবিন এবং কার্গো হোল্ড জরুরী অবস্থার বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণের দৃশ্যের জন্য অনুমতি দেয়। কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তি এবং পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ অনুশীলন, যেমন দহনের জন্য তরলীকৃত গ্যাস ব্যবহার, ন্যূনতম পরিবেশগত প্রভাব সহ কার্যকর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করে।

একটি ফিউচার-প্রুফ ফ্লিট

প্যান্থারস, তাদের উন্নত প্রকৌশল এবং অ্যালিসন ট্রান্সমিশন সহ, বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণের ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করে। মিউনিখ বিমানবন্দরে তাদের মোতায়েন শুধুমাত্র বিমানবন্দরের জরুরী প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা বাড়ায় না বরং অগ্নিনির্বাপক দক্ষতা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও নতুন মান নির্ধারণ করে। মিউনিখ বিমানবন্দরের বিকাশ অব্যাহত থাকায়, প্যান্থার এবং তাদের অ্যালিসন ট্রান্সমিশনগুলি জীবন এবং সম্পদ রক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রভাগে থাকবে।

বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণের এই উদ্ভাবনী পদ্ধতি, অ্যালিসনের ট্রান্সমিশন প্রযুক্তির সাথে রোজেনবাউয়ারের প্রকৌশল উৎকর্ষকে একত্রিত করে, আরও দক্ষ, নির্ভরযোগ্য, এবং প্রতিক্রিয়াশীল জরুরি পরিষেবাগুলির দিকে বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের উদাহরণ দেয়।

গ্যাল্যারি

পূর্ববর্তী 1 of 10 পরবর্তী

সূত্র এবং ছবি

• অ্যালিসন ট্রান্সমিশন